test

ক্যান্সার স্ক্রিনিং: কেন দরকার?


 

ক্যান্সার স্ক্রিনিং: কেন দরকার?

স্ক্রিনিং মানে হলো এমন কিছু পরীক্ষা, যা কোনও উপসর্গ ছাড়াই রোগকে প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।

কোন কোন ক্যান্সারের স্ক্রিনিং প্রয়োজন?

  1. স্তন ক্যান্সার (Breast Cancer):

    • মেমোগ্রাফি বা ব্রেস্ট এক্স-রে ৪০ বছর বয়সের পর নিয়মিত করানো উচিত।

    • নিজের স্তনে অস্বাভাবিক গাঁঠি, সাইজ পরিবর্তন দেখলে অবহেলা নয়।

  2. সার্ভিক্যাল ক্যান্সার (Cervical Cancer):

    • ২৫ বছর বয়সের পর থেকে Pap smear বা VIA টেস্ট নিয়মিত করালে এই ক্যান্সার আগেভাগে ধরা পড়ে।

    • এটি একমাত্র এমন ক্যান্সার যা প্রায় পুরোপুরি প্রতিরোধযোগ্য।

  3. মুখগহ্বর ও গলার ক্যান্সার (Oral Cancer):

    • তামাক বা পান খাওয়ার অভ্যাস থাকলে মুখের ভিতরে কোনও ঘা বা সাদা দাগ হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

  4. কোলন ও প্রোস্টেট ক্যান্সার:

    • ৫০ বছরের পর নিয়মিত রেকটাল এক্সামিনেশন বা PSA টেস্ট করানো উপকারী।


💉 ক্যান্সার প্রতিরোধে ভ্যাকসিন

সব ক্যান্সারের ভ্যাকসিন নেই, কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভ্যাকসিন রয়েছে।

  1. HPV ভ্যাকসিন (Human Papillomavirus Vaccine):

    • মেয়েদের ক্ষেত্রে সার্ভিক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত কার্যকর।

    • ৯-১৪ বছর বয়সেই দেওয়া শ্রেয়, তবে ২৬ বছর বয়স পর্যন্ত নেওয়া যায়।

    • ছেলেদেরও দেওয়া যায়, কারণ HPV থেকে ওরাল ও জেনিটাল ক্যান্সারও হতে পারে।

  2. হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন:

    • লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

    • শিশুকালেই এটি দেওয়া হয়, তবে যাদের নেওয়া হয়নি, তারা বড়বেলায়ও নিতে পারেন।


🔍 শেষ কথা

ক্যান্সার মানেই মৃত্যু নয়—আগে ধরা পড়লে অনেক সময়েই এটি পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য। স্ক্রিনিং ও ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমে আপনি নিজে এবং আপনার পরিবারকে একটি সুস্থ ভবিষ্যৎ উপহার দিতে পারেন।

সচেতন হোন, নিয়মিত পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন সময়মতো নিন। কারণ প্রতিরোধই সর্বোৎকৃষ্ট চিকিৎসা।