স্ক্রিনিং মানে হলো এমন কিছু পরীক্ষা, যা কোনও উপসর্গ ছাড়াই রোগকে প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
কোন কোন ক্যান্সারের স্ক্রিনিং প্রয়োজন?
স্তন ক্যান্সার (Breast Cancer):
মেমোগ্রাফি বা ব্রেস্ট এক্স-রে ৪০ বছর বয়সের পর নিয়মিত করানো উচিত।
নিজের স্তনে অস্বাভাবিক গাঁঠি, সাইজ পরিবর্তন দেখলে অবহেলা নয়।
সার্ভিক্যাল ক্যান্সার (Cervical Cancer):
২৫ বছর বয়সের পর থেকে Pap smear বা VIA টেস্ট নিয়মিত করালে এই ক্যান্সার আগেভাগে ধরা পড়ে।
এটি একমাত্র এমন ক্যান্সার যা প্রায় পুরোপুরি প্রতিরোধযোগ্য।
মুখগহ্বর ও গলার ক্যান্সার (Oral Cancer):
তামাক বা পান খাওয়ার অভ্যাস থাকলে মুখের ভিতরে কোনও ঘা বা সাদা দাগ হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কোলন ও প্রোস্টেট ক্যান্সার:
৫০ বছরের পর নিয়মিত রেকটাল এক্সামিনেশন বা PSA টেস্ট করানো উপকারী।
সব ক্যান্সারের ভ্যাকসিন নেই, কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভ্যাকসিন রয়েছে।
HPV ভ্যাকসিন (Human Papillomavirus Vaccine):
মেয়েদের ক্ষেত্রে সার্ভিক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত কার্যকর।
৯-১৪ বছর বয়সেই দেওয়া শ্রেয়, তবে ২৬ বছর বয়স পর্যন্ত নেওয়া যায়।
ছেলেদেরও দেওয়া যায়, কারণ HPV থেকে ওরাল ও জেনিটাল ক্যান্সারও হতে পারে।
হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন:
লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
শিশুকালেই এটি দেওয়া হয়, তবে যাদের নেওয়া হয়নি, তারা বড়বেলায়ও নিতে পারেন।
ক্যান্সার মানেই মৃত্যু নয়—আগে ধরা পড়লে অনেক সময়েই এটি পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য। স্ক্রিনিং ও ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমে আপনি নিজে এবং আপনার পরিবারকে একটি সুস্থ ভবিষ্যৎ উপহার দিতে পারেন।
সচেতন হোন, নিয়মিত পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন সময়মতো নিন। কারণ প্রতিরোধই সর্বোৎকৃষ্ট চিকিৎসা।